Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সহবাস সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর

Sohobas


১/ প্রশ্ন:-. গর্ভাবস্থায় কী সঙ্গম করা যাবে?
উত্তর: -- যদি গর্ভাবস্থায় ভ্রণের কোন প্রকার ক্ষতি হবার আশঙ্কা না থাকে তাহলে তা খুবই সতর্কতার সাথে করা যাবে।
২/ প্রশ্ন: --- পুরুষাঙ্গ যোনীপথে প্রবেশ করানোর     পর যদি বীর্যপাত না হয় তাহলে কী গোসল করতে হবে?
উত্তর: -- হ্যাঁ। এটি ফরয। এছাড়া যদি পুরুষাঙ্গ যোনীপথে প্রবেশ না করেও অন্য উপায়ে (যেমনঃ হস্তমৈথুন) বীর্যপাত করা হয় তবুও গোসল করা ফরয।
৩/ প্রশ্ন: --- স্বামীর সাথে আমার সঙ্গম শেষ হওয়ার পরপরই আমার মাসিক শুরু হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় কী গোসল জরুরী?
উত্তর; --- না। এমন অবস্থায় গোসল জরুরী নয়। একেবারে মাসিক বন্ধ হবার পরই গোসল করে পবিত্র হতে হবে।
৪/ প্রশ্ন: -- নগ্ন অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী আলিঙ্গন করলে যদি বীর্যপাত না হয়ে মযী বের হয় তাহলে কী গোসল করা ফরয?
উত্তর: --- না। এক্ষেত্রে গোসল ফরয নয়। পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ওযূ করলেই যথেষ্ট।
৫ / প্রশ্ন: -- আমি কী আমার স্ত্রীর স্তনের দুধ খেতে পারবো? এটি কী জায়েজ?
উত্তর: -- না। এটি জায়েজ নয়। যদি আপনি ইচ্ছা করে খান, তাহলে আপনার স্ত্রী আপনার জন্য হারাম হয়ে যাবে। তাছাড়া স্তনের দুধ শুধুমাত্র সন্তানের জন্য, স্বামীর জন্য নয়।
৬ /  প্রশ্ন:--- ২৩. আমি জানি যে, সন্তান জন্মের পরবর্তী ৪০ দিন পর্যন্ত সঙ্গম জায়েজ নয়। এটা কী সত্যি?
উত্তর:--- হ্যাঁ। কারণ সন্তান জন্মের পরবর্তী ৪০ দিন পর্যন্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। তাই এ সময়ে সঙ্গম জায়েজ নয়।
৭/ প্রশ্ন: -- ইসলাম কী সমকামী সমর্থন করে?
উত্তর: --- না। কারণ, সমকামী পৃথিবীতে চলমান বংশবৃদ্বির ধারাকে রোধ করে।
৮/ প্রশ্ন: --- ইসলামে কী গর্ভপাত করা হারাম?
উত্তর: --- হ্যাঁ। তবে যদি এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, সন্তানকে বাচাঁতে গেলে মায়ের মৃত্যু হবে, তাহলে সেক্ষেত্রে গর্ভপাত করা জায়েজ।
৯ /  প্রশ্ন: -- স্ত্রীর মুখে লিঙ্গ দেয়া জায়েজ আছে কি?
উত্তর: --- যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটি একটি পুশুভিক্তিক আচরণ। যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটা সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারেনা। পুশুদের হাত নেই বলেই তার সঙ্গীনিকে মুখ দ্বারা উত্তেজিত করে। কিন্তু আপনার তো হাত আছে। আপনার হাত থাকতে কেনো আপনি (পুরুষ ও নারী) কেনো যৌনাঙ্গতে মুখ লাগিয়ে আপনার সঙ্গীনিকে উত্তেজিত করবেন?? আমার জানা মতে পুশুরাও তো যৌনাঙ্গতে মুখ লাগায় না। তবে আপনি কেনো সৃষ্টির সেরা হয়ে যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাবেন??? 
এটা তো প্রসাবের রাস্তা। আপনি কি যে পাত্রে প্রসাব করেন সে পাত্রে কি খাদ্য রেখে খাবেন??? আপনার রুচিতে হলে খেতে পারেন আমার কোনো আপত্তি নেই।  আমার এই কথার বিপরীতে যদি আপনি বলেন এটা (যৌনাঙ্গ) তো ধোয়া ও পরিস্কার থাকে। জবাবে আমি আপনাকে বলবো আপনি কারো বাসায় মেহমান হয়ে গেলেন। আপনার সামনে সে বাসার মালিকের ছোট্ট ছেলে ফল রাখার পাত্রেতে প্রসাব করে দিল এবং বাসার মালিক তা ধুয়ে সে পাত্রে আপনাকে ফল বা খাবার  আপনি কি সে খাবার খাবেন? অবশ্য আপনার রুচিতে হলে খেতে পারেন। আপনি তাকান তো আপনার নিজের দিকে। আপনি যখন আপনার মায়ের গর্ভে ছিলেন, তখন মহান আল্লাহ আপনার মায়ের মাসিকের রক্ত বন্ধ করে সে রক্ত দিয়ে আপনার প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সে মাসিকের রক্ত কি আপনাকে মুখ দিয়ে পান করিয়েছেন না কি নাড়ী দিয়ে। মহান আল্লাহ মাসিকের রক্ত নাড়ী দিয়ে আপনার দেহ প্রবেশ করিয়ে আপনার প্রাণ রক্ষা করেছেন। কেনো করেছেন? উত্তর হচ্ছে এই রক্ত যদি আপনার মুখ দিয়ে আপনার দেহে প্রবেশ করাতেন তাহলে আপনার মুখ টা নাপাক হয়ে যেত। তা হলে আপনি দুনিয়াতে এসে অপবিত্র মুখ দিয়ে মহান আল্লাহর নাম নিতেন। আপনি যাতে পবিত্র মুখ দিয়ে মহান আল্লাহর নাম জপতে পারেন সে জন্য মহান আল্লাহ এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মায়ের গর্ভে আপনার প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
তৃতীয়তঃ যৌনাঙ্গতে মুখ লাগালে যৌনাঙ্গতে লেগে থাকা জীবাণু আপনার দেহে প্রবেশ করবে। তাতে আপনি অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাছাড়া আপনি যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাবেন সে যদি যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তখন আপনি কি করবেন???
      এ অভ্যাস ছাড়ুন এতে চোখের জতি কমে যায় ৷
১০/ প্রশ্ন  শরিয়াতের দৃষ্টিতে সহবাসের নিয়ম কি??
উত্তর: --- আমরা অনেকেই হয়ত ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক সহবাসের স্বাভাবিক নিয়ম বা পন্থা সম্পর্কে জানি না। এখানে এ বিষয়ে একটু ধারণা দেয়া হলো যদিও হাদিস থেকে বিভিন্ন আসনে সহবাস করার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। তবে সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়। সর্বপরি এ দিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে আল কুরআনে।
আয়াতের অর্থ হলোঃ
    "যখন স্বামী -স্ত্রীকে ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।"
আর স্ত্রী যখন নিচে থাকবে এবং স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে থাকবে তখনই স্বামীর শরীর দ্বারা স্ত্রীর শরীর ঢাকা পড়বে। তাছাড়া এ পন্থাই সর্বাধিক আরামদায়ক। এতে স্ত্রীরও কষ্ট সহ্য করতে হয়না এবং গর্ভধারণের জন্যেও তা উপকারী ও সহায়ক। বিখ্যাত চিকিতসা বিজ্ঞানী বু-আলী ইবনে সীনা তার অমর গ্রন্থ "কানুন" নামক বইয়ে এই পন্থাকেই সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে উলে­খ করেছেন এবং 'স্বামী নিচে আর স্ত্রী উপরে' থাকার পন্থাকে নিকৃষ্ট পন্থা বলেছেন। কেননা এতে পুংলিংগে বীর্য আটকে থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আনন্দঘন মুহুর্তটা পরবর্তিতে বেদনার কারণ হয়ে না দাড়ায়। তাই ইসলামী জীবন বিধান মেনে চলুন আনন্দকে অনন্দ হিসেবে উপভোগ করুন। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বিধান অনুযায়ী মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।
হযরত আলী (রাযি.) এর  অসিয়ত :-
হযরত আলী (রাযি.) তাঁর অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে, সহবাসের ইচ্ছে হলে এই নিয়তে সহবাস করতে হবে যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জন্ম নেবে নেককার ও সত সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্যেশ্যও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
    স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে।
    মুস্তাহাব হলো "বিসমিল্লাহ" বলে সহবাস শুরু করা। ভুলে গেলে যখন বীর্যপাতের পূর্বে মনে মনে পড়ে নেবে।
    সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করাও আল্লাহর রাসুলের সুন্নত।
    সকল জাতিয় দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা উচিত। উল্য্যে যে, ধুমপান কিংবা অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এতে কামভাব কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয় বিতৃষ্ণা।
    কেবলামূখী না হওয়া।
    একেবারে উলঙ্গ হবে না।
    বীর্যপাতের পর ততক্ষণাত বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং স্ত্রীর বীর্যপাত হওয়া পর্যন্তঅপো করবে।
    বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধরিত দোয়া পড়বে। কেননা যদি সে সহবাসে সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সে শয়তানের প্রভাব মুক্ত হবে নিয়ত ঠিক করুন।
আমাদের ইসলামী সমাজে প্রচলিত কিছু নিয়ম কানুন :-
    ফলবান গাছের নিচে স্ত্রী সহবাস করবে না।
    সহবাসের প্রথমে দোয়া পড়বেন।
    স্ত্রী সহবাসের দোয়া :-
            بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
    (বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রযাকতানা)।
'আল্লাহ্‌র নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনি যে সন্তান দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন।" (সুত্র :- বুখারী ৬/১৪১, নং ১৪১; মুসলিম ২/১০২৮, নং ১৪৩৪)
    তারপর স্ত্রীকে আলিঙ্গন করবেন।
    স্ত্রী যদি ইচ্ছা হয় তখন তাকে ভালোবাসা দিবে এবং আদর সোহাগ দিবে। চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের পূর্ণ আশা হবে সহবাস।
    তখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন।
    স্ত্রী সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও সহবাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা করিবে না।
    তাহার সাহিত মিলন সুখের চিন্তা করবেন না। স্ত্রীর ও তাই করা উচিৎ।
    স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় উভয়ের অসুখের সময় সহবাস করবেন না।
    চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
    স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে সহবাস করবেন না। ইহাতে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়।
    বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
    সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা বলবেন না।
    নাপাক শরীরে স্ত্রী সহবাস কবেন না।
    উলঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করবেন না।
    জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
    ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
    উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
    স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
    পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
 
এখুলি কর্মে পরিনিত করার চেষ্টা করবেন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ