Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নবী নূরের তৈরী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম

ভূমিকা:- সমস্ত প্রসংশা আল্লাহ তায়ালার জন্য এবং দরুদ,সালাম অবতির্ন হক মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লামের প্রতি ৷ আজ বর্তমান যুগে নবী সাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম কে নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ টানা টানি শুরু করেছে তারা বলছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাল্লাহ মাটির সাধারন মানুষ,আমাদের মত,বড়ভাই ইত্যাদি ৷ আজ নূর বিষয়টা নিয়ে লিখতে যাচ্ছি ৷ আল্লাহ যদি চান ইনশাল্লাহ  লিখব ৷

উদ্দেশ্য -- সাধারন মানুষের ইমান নষ্ট করছে ওহাবী,লা-মাজাবী,মুনাফিকরা ৷ আমার উদ্দেশ্য হল,সঠিক আকিদা তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং তাদের সচেতন করা ৷ 

কিছু কথা:- আলোচনা শুরু করার আগে পাঠকদে প্রতি কিছু কথা এই যে, আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লামের দুটি রূপ কোরান হাদিস দ্বারা প্রমানিত
১/ বাসারিয়াত (অর্থাৎ মানব হওয়া)
قل انما انابشرمشلكم يحى اليٌ
আপনি বলেদিন আমি তোমাদের মতই মানুষ ( জ্বীনও না ফেরেস্তাও না আমি মানুষ) আমার কাছে ওহি আসে৷ (সুরা কাহাফ ১১০)
২/ নুরানিয়াত  ( অর্থাৎ নূর হওয়া)
قدجآءَكم مّن الله نورٌوَّكتابٌ مبين 
নিশ্চয় আল্লাহপ পক্ষ হইতে তোমাদের নিকটে এসেছে একটি নূর এবং উজ্জল কিতাব ৷ (পারা ৬ রুকু ৭) 
আহলে সুন্নাত ওল জামাতের আকিদা হল,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম নূর এবং মানুষ ৷
দুটির একটি অস্বিকারকারী কাফির ৷
ওবাবি,ফারাজী,সালাফী,দেওবান্দিদের আকিদা হল,  নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম সাধারন মানুষ নূর মানলে কাফির ৷ নাউজু বিল্লাহ
আজ আমি প্রমান করব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম নূরের মানব ৷ একটু ধৈর্য ধরে পড়ার অনুরোধ রইল ৷
                              
                            দলীল সমূহ
১নং দলীল:- পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা বলেন--
قد جآءَكم مّن الله نورٌوَّكتابٌ مبين 
নিশ্চয় আল্লাহপ পক্ষ হইতে তোমাদের নিকটে এসেছে একটি নূর এবং উজ্জল কিতাব ৷ (পারা ৬ রুকু ৭)

সাহাবী হজরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন- قد جآءكم من الله نور رسول يعنى محمداٍ
নিশ্চয় তোমাদের নিকট এসেছে নূরের রাসুল অর্থাৎ মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম ( তাফশিরে ইবনে আব্বাস ৭২ পৃঃ মিশর থেকে প্রকাশিত ৷

উক্ত আয়াতের বাখ্যাতে আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহঃ) লিখেছেন -----
اى نور هو النبى صلى الله عليه و سلم
অর্থাৎ নূর হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম (তাফশীরে জালালাইন ৯৭ পৃ)
এছাড়া একাধিক মুফাসসিরগণ এই বাখ্যাই করেছেন ৷

দেওবান্দিদের হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলি থানবি নূরের বাখ্যা করতে গিয়ে নূর মানে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লামের জাত কে বুঝিয়েছেন ৷ ( সারফুল মুয়ায়িজ ২৩৯ পৃঃ)

পাঠকগণ এবার আপনারা নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লামের নূর হওয়া সম্পর্কে অনেকটা বঝে গেছেন ৷

দলীল নং ২:- হজরত যাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত
ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺎﺑﻰ ﺍﻧﺖ ﻭﺍﻣﻰ ﺍﺧﺒﺮﻧﻰ ﻋﻦ ﺍﻭﻝ ﺷﺊ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ؟ ﻗﺎﻝ ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭﻧﺒﻴﻚ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﻓﺠﻌﻞ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻳﺪﻭﺭ ﺑﺎﻟﻘﺪﺭﺓ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻟﻮﺡ ﻭﻻ ﻗﻠﻢ ﻭﻻ ﺟﻨﺔ ﻭﻻ ﻣﻠﻚ ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ  ﻭﻻ ﺍﺭﺽ ﻭﻻ ﺷﻤﺲ ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻ ﺟﻦ ﻭﻻ ﺍﻧﺲ
– ﻓﻠﻤﺎ ﺍﺭﺍﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﺨﻠﻖ ﻗﺴﻢ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﺟﺰﺍﺀ ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻻﻭﻝ ﺍﻟﻘﻠﻢ ﻭ ﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﺍﻟﻠﻮﺡ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﺛﻢ ﻗﺴﻢ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺮﺑﻊ ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﺟﺰﺍﺀ ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ ﺍﻻﻭﻝ ﺣﻤﻠﺔ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻰ
ﺍﻟﻜﺮﺳﻰ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﺑﺎﻗﻰ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺛﻢ ﻗﺴﻢ ﺍﻟﺮﺑﻊ ﺍﺭﺑﻊ ﺍﺟﺰﺍﺀ ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ  ﺍﻻﻭﻝ ﺍﻟﺴﻤﺎﻭﺍﺕ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻰ ﺍﻻﺭﺿﻴﻦ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻟﻨﺎﺭ
————————————— ﺍﻟﺦ
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ! আপনার প্রতি আমার পিতা মাতা উৎসর্গিত। আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর পূর্বে কোন বস্তুটিট সৃষ্টি করেছেন ? জবাবে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামা ইরশাদ করলেন, হে জাবের! আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম সমস্ত বস্তুর পূর্বে তাঁর আপন নূর হতে তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী সেই নূর পরিভ্রমণ করতে লাগল।
ওই সময় না ছিল লউহে-মাহফুজ, না ছিল কলম,
না ছিল বেহেশত, না ছিল দোজখ, না ছিল ফেরেশতা, না ছিল আকাশ, না ছিল পৃথিবী, না ছিল সূর্য, না ছিল চন্দ্র,না ছিল জ্বিন জাতি, না ছিল মানবজাতী। অতঃপর
যখন আল্লাহ্ তায়ালা অন্যান্য বস্তু সৃষ্টি করার মনস্থ করলেন, তখন ওই নূর কে চার ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে কলম, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে লউহে-মাহফুজ, তৃতীয় ভাগ দিয়ে আরশ সৃষ্টি করলেন। অবশিষ্ট এক ভাগকে আবার চার ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে আরশ
বহনকারী ফেরেশতা, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে কুরসি, তৃতীয় ভাগ দিয়ে অন্যান্য ফেরেশতা সৃষ্টি করলেন। দ্বিতীয় চার ভাগের অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবার পুনরায় চার ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে আকাশ, দ্বিতীয় ভাগ
দিয়ে জমিন, তৃতীয় ভাগ দিয়ে বেহেশত- দোজখ সৃষ্টি করলেন। অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবার চার ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে মোমেনদের নয়নের দৃষ্টি, দ্বিতীয়
ভাগ দিয়ে কালবের নূর তথা আল্লাহ্র মারেফত, তৃতীয় ভাগ দিয়ে তাদের মহববতের নূর তথা তাওহিদী কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা)” সৃষ্টি করলেন এবং বাকি এক ভাগ দিয়ে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলেন।
[হাদীস সূত্রঃ- মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক,
খন্ড-০১, পৃষ্ঠা-৯৯, হাদীস নং-১৮

হাদিসটি অন্যান্য সে সব কিতাবে রয়েছে
১। দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩ ।
২। মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ১/৯ ।
৩। মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২ ।
৪। যুরকানী ১/৪৬ ।
৫। রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫ ।
৬। সিরাতে হালবীয়া ১/৩০ ।
৭। মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।
৮। ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃষ্ঠা ।
৯। নি’ মাতুল কুবরা ২ পৃষ্ঠা;
১০। হাদিকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫ ।
১১। দাইলামী শরীফ ২/১৯১ ।
১২। মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ পৃষ্ঠা ।
১৩। ইনছানুল উয়ুন ১/২৯ ।
১৪। নূরে মুহাম্মদী ৪৭ পৃষ্ঠা ।
১৫। আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫
পৃষ্ঠা ।
১৬। আফদ্বালুল ক্বোরাঃ তারীখুল খমীসঃ
নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড ।
১৭। দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃষ্ঠা ।
১৮। কাশফুল খফা ১/৩১১ ।
১৯। তারিখ আননূর ১/৮ ।
২০। আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮ ।
২১। আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন
নবী ।
২২। তাওয়ারীখে মুহাম্মদ ।
২৩। আনফাসে রহীমিয়া ।
১৪। মা’ য়ারিফে মুহম্মদী ।
১৫। মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০ ।
১৬। নশরুতত্বীব ৫ পৃষ্ঠা ।
১৭। আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩

১৮। শিহাবুছ ছাকিব ৫০ পৃষ্ঠা ।
১৯। মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃষ্ঠা ।
২০। রেসালায়ে নূর ২ পৃষ্ঠা ।
২১। হাদিয়াতুল মাহদী ৫৬ পৃষ্ঠা ।
২২। দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদকৃত বুখারী
শরীফ ৫/৩ ।

হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে >> জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে >> মুহাম্মাদ বিন মুকদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে >>
মা’মার বিন রাশীদ হতে >> আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত। অর্থাৎ হাদীসটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হতে
আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত মাঝখানে মাত্র চারজন রাবী রয়েছেন।

 হাদীসটি সম্পর্কে মুহাদ্দীসগণের মন্তব্য
(ক) হাফেজে হাদিস, উপমহাদেশের বুখারী, মুহাদ্দিস হযরত আব্দুল হক দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সুবিখ্যাত সিরাত গ্রন্থ “মাদারিজ নবুয়ত” গ্রন্থে
হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।

(খ) আহমাদ ইবন সালীহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আমি একবার আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি’কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি হাদীস শাস্ত্রে
আব্দুর রাজ্জাকের থেকে ভালো আর কাউকে পেয়েছেন ? আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না”। [আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ২/৩৩১]

(গ) হাদীসটির একজন রাবী হলেন মা’মার বিন রাশীদ। উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বসরা নগরীর সকল হাদীস শাস্ত্র
বিশেষজ্ঞদের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকের মা’মার বিন রাশীদ এর সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি।

(ঘ) ইমাম ইবন হাজর আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দক্ষ মুখস্থবিদ এবং নির্ভরযোগ্য বলেন। [আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫]
(ঙ) বুখারী শরীফে মা’মার বিন রাশীদ সূত্রে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা প্রায় ২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায় ৩০০।

(চ) হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার। ইমাম হুমায়দি বলেন, মুকদার একজন হাফিজ। ইবন মা’ঈন বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য। [আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব খন্ডঃ-০৯/১১০৪৮]

(ছ) মুকদার থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যাবুখারী শরীফে ৩০টি এবং মুসলিম শরীফে ২২টি।

(জ) আর জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শরীফের উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে। সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও
মুসলিম শরীফেও হাদীস বর্ণিত আছে।

৩য় নং দলীল:- 
বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইমাম আহমদ কুস্তলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সুপ্রসিদ্ধ
কিতাব মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়ায় হযরত ইমাম জয়নাল আবেদীন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি তাঁর পিতা হযরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি
তাঁর পিতা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “আমি হযরত আদম আলাইহিস সালাম সৃষ্টির চৌদ্দ হাজার(১৪,০০০) বছর পূর্বে আল্লাহর নিকট ‘নূর’ হিসাবে বিদ্যমান ছিলাম।”
[মাওয়াহেবে লাদুনিয়া, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা-৯;
যুরকানী শরীফ, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা-৪৬;
সিরাতে হালভিয়া, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা-৩৭,

হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিম, পৃষ্ঠা- ২৮

চতুর্থ দলীল:--  হজরত আব্দুর রহমান বিন আব্দুস সালাম আসসুফুরী (রহঃ) বর্নণা করেন - হজরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন
قبض قبضه من نوره ثم قال كوني حبيبى
আল্লাহ নিজ নূর হইতে এক মুস্টি নূর নিয়ে বললেন আমার বন্ধু হয়ে যা ৷  (নুজহাতুল মাজালিস ৯৬-৯৭পৃঃ)

পঞ্চম দলীল:-  কোন এক সময় হযরত রাসূলে করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন, হে ভাই জিব্রাইল!  তোমার বয়স কত বৎসর হয়েছে ? হযরত জিব্রাইল আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার বয়স সম্পর্কে কিছুই বলতে পারিনা। তবে আমি আপনাকে আমার বয়স সম্পর্কে এতটুকু তথ্য জানাতে পারি যে, চতুর্থ আসমানে
একটি উজ্জ্বল তারকা ছিল। ঐ তারকাটি সত্তর হাজার বৎসর পর পর আসমানে একবার উদয় হত। আমি তাকে সত্তর হাজার বার উদয় হতে দেখেছি। এখন চিন্তা করুন, আমার বয়স কত হতে পারে ! নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত জিব্রাইল
আলাইহিস সালাম এর উত্তর শুনে ইরশাদ করলেন, হে ভাই জিব্রাঈল! আমি আমার পরওয়ার দেগারের নামে শপথ করে বলছি যে, উক্ত উজ্জ্বল তারকাটি আমি-ই ছিলাম। (তাফসিরে রুহুল বায়ান প্রথম খন্ড ৯৭৪ পৃষ্টা)
---এছাড়া অনেক দলীল আছে ৷

উপসংহার:- উপরে দেয়া দলীল দ্বারা স্পস্ট হয়ে গেল যে,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম নূরের মানব ৷
যারা এখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লামকে নূর মানতে রাজিনা তাদের কাছে আবেদন যে,মনকে আবু জেহেলের মত শক্ত না করে আবু বাকার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মত নরম করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম কে নূর মেনে নিন ৷  আল্লাহ যেন আমাদের কে বুঝার তৌফিক দেন  ৷,,,,,  আমিন
--------------মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ কাদরী রেজবী

চ্যালেঞ্জ:- সমস্ত ওহাবীদের কিয়ামত পর্যন্ত সময় দিলাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম কে মাটি দিয়ে তৈরী করা হয়েছে তা প্রমান করুন ৷
বিদ্র:- কেও যদি বুঝতে না পারেন অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন আমরা সব সময় আপনাদের সঙ্গে আছি ইনশা আল্লাহ ৷ 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ