Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ওহাবী কারা?

নজদ (র্বতমান রিয়াদ- বর্তমান সৌদি আরবের রাজধানী) থেকে শয়তানের শিং বের হবে: :
আমরা সব সময় একটা কথা বলে থাকি এটা ওহাবীদের কাজ বা ওহাবী আক্বীদা, ওহাবী মতবাদ। আর এই ওহাবী কারা সেটাও আমাদের জানা অনেক প্রয়োজন। ওহাবী হলো পথভ্রষ্ট একটি নামধারী ইসলামিক দল। যারা সবসময় আমাদের প্রিয় নবী (দঃ) ও ওলী-অল্লাহদের শানে বেয়াদবী করে আসছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত তা করতে থাকবে। এরা হলো “ফেরকায়ে বাতেলা” বা অতীতের “খারেজী সম্প্রদায়” এর আধুনিক ও আপডেটেড ভার্সন।
ওহাবী মতবাদঃ হিজরী দ্বাদশ শতকের ১১১১ হিজরীতে আরবের নজদ নামক স্থানে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর আবির্ভাব ঘটে। সে যে মতবাদ প্রচার করেছিলো উহাই ওহাবী আন্দোলন এবং ওহাবী সমপ্রদায় নামে অভিহিত।
ইসলামের প্রাথমিক যুগ হতে আরম্ভ করে আজ পর্যন্ত ইসলামী সমাজে যে সব ফেৎনা ফ্যাসাদের সম্মুখীন হয়েছে – তাদের মধ্যে ওহাবী ফেৎনা জঘন্যতম। আমাদের প্রিয় নবী পূর্বেই এ ফেৎনা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। মিশকাত শরীফের “জিকরুশ শাম ওয়াল ইয়ামান” অধ্যায়ের ৫৮২ নং পৃষ্ঠা।
Δ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে হুযূর নবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদিন এভাবে) দোয়া করেছিলেন যে, হে আল্লাহ ! আপনি আমাদের শাম দেশে বরকত দান করুন, হে আল্লাহ আপনি আমাদের ইয়েমেন দেশে বরকত দান করুন । (কিছু) লোক আবেদন করল, হে আল্লাহর রাসূল (দঃ) আমাদের নজদের জন্যও দোয়া করুন? তিনি পূনরায় দোয়া করতে লাগলেন, হে আল্লাহ আমাদের জন্য আমাদের শাম দেশে বরকত দান করুন, হে আল্লাহ আমাদের জন্য আমাদের ইয়েমেন দেশে বরকত দান করুন । (কিছু) লোক (পূনরায়) আরজ করল, হে প্রিয় রাসূল (দঃ) আমাদের নজদের জন্য একটু দোয়া করুন । তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, আমি নজদ এর জন্য কিভাবে দোয়া করতে পারি, কারণ ওখান থেকেই ভূমিকম্প, ফিতনা-ফসাদ এবং শয়তানের শিং (বাতিলরা) বের হবে যারা ইসলামের ভিত নড়া দিবে।
{ সূত্র :- ১. বুখারী : আস সহীহ, কিতাবুল ফিতান, ৬/২৫৯৮, হাদিস : ৬৬৮১, কিতাবুল ইসতিসকা, ১/৩৫১,
হাদিস :৯৯০ ২. তিরমিযী : আস সুনান, কিতাবুল মানাকিব, ৫/৭৩৩, হাদিস: ৩৯৫৩ }
পাঠক বিশ্ব নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর এই হাদিস লক্ষ্য করুন তিনি নজদ এর জন্য দোয়া করেন নি। নজদ হচ্ছে সৌদি আরবের একটি প্রদেশ যার নাম আজকে সৌদিরা পরিবর্তন করে রিয়াদ রেখেছে নিজেদেরকে রাসুলুল্লাহ’র (দঃ) হাদিস থেকে আড়াল করার জন্য। এখন দেখুন রাসুলুল্লাহ’র (দঃ) হাদিস ভবিষ্যতবানী কোনদিন মিথ্যা হয় না।
তিনি বলেছিলেন যে নজদ থেকে ভুমিকম্প বেড় হবে ফিতনা ফাসাদ। আর ঠিক সেই যায়গায় জন্ম গ্রহণ করে আব্দুল ওহাবী নজদী যার অনুসারীরা আজকে ওহাবী নামে পরিচিত। সেই ওহাব নজদী আর আজকে তার অনুসারী ওহাবীরা ইসলামের কিনা বারোটা বাজিয়েছে। সারা বিশ্বের মুসলমানকে বিভক্ত করে আজ মুসলমানকে তারা এতই দূর্বল করে দিয়েছে যে আজ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ট হওয়ার পরেও কাফিরদের সাথে পেরে উটছে না।
তারা আজ শিরক,বিদাত এর ধোয়া তুলে ওহাবীরা ইহুদী নাসারাদের দালালী করে মুসলমানদের ধংস করছে।
এখন দেখুন তারা কি জঘন্য আক্বীদা পোষণ করে। যে আক্বীদা না রাসুলের ছিল না কোন সাহাবীর ছিল। এজন্যতো রাসুলুল্লাহ (সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাদের শয়তানের শিং বলে সাব্যস্ত করেছেন। নিম্নে এদের কিছু কুফরি আক্বীদার দলীল দেয়া হল---

১. আল্লাহ মিথ্যা বলতে পারেন।
[ফতোয়া-ই- রশীদিয়া, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৯, কৃত মৌং রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী দেওবন্দী]
২. আল্লাহ আগে জানেন না বান্দা কি কাজ করবে।বান্দা যখন কাজ সম্প্ন করে নেয় তখনই আল্লাহ তা জানতে পারেন।
[তাফসীর-ই- বুলগাতুল হায়রান পৃষ্ঠা ১৫৭-৫৮, কৃত মৌং হুসাইন আলী দেওবন্দী]
৩. শয়তান ও মালাকুল মাওত এর জ্ঞান হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার চেয়ে বেশি।
[বারাহীন-ই ক্বাতিয়াহ পৃষ্ঠা- ৫১ কৃত খলীল আহমদ আম্বেটভী দেওবন্দী]
৪. আল্লাহর নবীর নিকট নিজের পরিণতি এবং দেয়ালের পিছনের জ্ঞানও নেই। [বারাহীন-ই ক্বাতিয়াহ পৃষ্টা ৫১, কৃত খলীল আহমদ আম্বেটভী দেওবন্দী]
৫. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তায়ালা তেমনি জ্ঞান দান করেছেন যেমন জ্ঞান জানোয়ার পাগল এবং শিশুদের নিকট রয়েছে।
[হিফজুল ঈমান পৃষ্ঠা-৭ কৃত মৌং আশরাফ আলী থানভী দেওবন্দী]
৬. নামাযে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার প্রতি শুধু খেয়াল যাওয়া গরু গাধার খেয়ালে ডুবে যাওয়া অপেক্ষাও মন্দতর।
[সিরাতে মু্স্তাকিম পৃষ্ঠা-৮৬ কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
৭. রাহমাতুল্লীল আলামীন (সমস্ত বিশ্বের জন্য রহমত) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার খাস উপাধি নয় নবীজী ছাড়া অন্যন্য বুযুর্গকেও রাহমাতুল্লিল আলামীন বলা যেতে পারে।
[ফতোয়া-ই রশীদিয়া ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা-১২ কৃত মৌং রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী দেওবন্দী]
৮. খাতা
[তাক্বভিয়াতুল ঈমান পৃষ্ঠা ৬১ কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১৬. বড় মাখলুক অর্থাৎ নবী আর ছোট মাখলুক অর্থাৎ অন্যসব বান্দা আল্লাহর শান বা মর্যাদার সামনে চামার অপেক্ষাও নিকৃষ্ট।
[তাক্বভিয়াতুল ঈমান পৃষ্ঠা ১৪ কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলবী ওহাবী]
১৭. নবীর মর্যাদা উম্মতের মধ্যে গ্রামের
চৌধুরী ও জমিদারের মত।
[তাক্বভিয়াতুল ঈমান পৃষ্ঠা-৬১ কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১৮. যার নাম মুহাম্মাদ কিংবা আলী তিনি কোন কিছুই করতে পারেন না।
[তাক্বভিয়াতুল ঈমান পৃষ্ঠা-৪১ কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১৮. উম্মত বাহ্যিকভাবে আমলের মধ্যে নবী থেকেও বেড়ে যায়।
[তাহযীরুন্নাছ পৃষ্ঠা-৫ কৃত দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মৌং কাসেম নানুতুভী]
১৯. দেওবন্দী মোল্লা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পুলসেরাত হতে পতীত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।
[তাফসীর-ই বুলগাতুল হায়রান পৃষ্ঠা-৪৩ কৃত মৌং হুসাইন আলী ওয়াভচরান ওয়ালা]
২০. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আশরাফ আলী রাসুলুল্লাহ আর আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা ওয়া নবীয়্যিনা আশরাফ
আলী বলার মধ্যে সান্ত্বনা রয়েছে কোন ক্ষতি নেই।
[রিসালা-ই ইমদাদ পৃষ্ঠা-৩৫ সফর-১৩৩৬ হিজরি সংখ্যা]
২১. মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করা তেমনি যেমন হিন্দুরা তাদের কানাইয়্যার জন্মদিন পালন করে।
[বারাহীন-ই ক্বাতিয়াহ পৃষ্ঠা-১৪৮ কৃত মৌং খলীল আহমদ আম্বেটভী দেওবন্দী]
২২. আল্লাহর সামনে সমস্ত নবী ও ওলী একটা নাপাক ফোটা অপেক্ষাও নগণ্য।
[তাক্বভিয়াতুল ঈমান পৃষ্ঠা-৫৬ কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
২৩. নবীকে নিজের ভাই বলা দুরস্ত।
[বারাহীন-ই ক্বাতিয়াহ পৃষ্ঠা-৫৬ কৃত মৌং খলীল আহমদ আম্বেটভী দেওবন্দী]
২৪. নবী ও ওলীকে আল্লাহর সৃষ্টি ও বান্দা জেনেও উকিল এবং সুপারিশকারী মনে করে এমন মুসলমান
সাহায্যের জন্য আহবানকারী ও নযর নিয়াযকারী মুসলমান আর কাফির আবু জাহল শির্কের মধ্যে সমান ।
[তাক্বভিয়াতুল ঈমান পৃষ্ঠা-৭-২৭ কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
২৫. দরূদ ই তাজ অপছন্দনীয় এবং পাঠ করা নিষেধ।
[ফযাইলে দরূদ শরীফ পৃষ্ঠা-৯২ ফাযাইলে আমল তথা তাবলীগী নেসাব থেকে পৃথক্বৃত]
২৬. মীলাদ শরীফ মিরাজ শরীফ ওরস শরীফ খতম শরীফ চেহলামে ফাতিহাখানি এবং ঈসালে সাওয়াব সবই
নাজায়েয ভুল প্রথা বিদআত এবং কাফির ও হিন্দুদের প্রথা।
[ফতোয়া-ই রশীদিয়া ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা-৯৩-৯৪, কৃত মৌং রশদি আহমদ গাঙ্গুহী দেওবন্দী]
২৭. প্রসিদ্ধ কাক খাওয়া সাওয়াব।
[ফতোয়া-ই রশীদিয়া ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা-১৩০ কৃত মৌং রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী দেওবন্দী]
২৮. হিন্দুদের হোলী দেওয়ালীর প্রসাদ ইত্যাদি জায়েয।
[ফতোয়া-ই রশীদিয়া ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা-১৩২ কৃত মৌং রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী দেওবন্দী]
২৯. ভাঙ্গী, চামাড়ের ঘরের রুটি ইত্যাদির মধ্যে কোন দোষ নেই যদি পাক হয়।
[ফাতোয়া-ই রশীদিয়া ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা ১৩০ কৃত মৌং রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী দেওবন্দী]
৩০. হিন্দুদের সুদী টাকায় উপার্জিত অর্থে কূপ বা নলকূপের পানি পান করা জায়েয।
[ফতোয়া-ই রশীদিয়া ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ১১৩-১১৪ কৃত মৌং রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী দেওবন্দী]
নাঊযুবিল্লাহ সুম্মা নাউযু বিল্লাহ মিনহা।
আল্লাহ এসব ফিতনাবাজ থেকে মুসলমানদের হিফাজত করুন।। আমীন।।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ