যারা নামাজের পর মুনাজাত
বিদআত বলে তারা দেখুন $$
~~> নামাযের পর মুনাজাত সম্পর্কে
নবী
কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর আমল
ﻋﻦ ﺍﻟﻤﻐﯿﺮۃ ﺑﻦ ﺷﻌﺒۃ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ﮐﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﯽ
ﺍﻟﻠﮧ
ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﯾﺪﻋﻮ ﻓﻲ ﺩﺑﺮ ﺻﻼﺗﮧ
( ﺍﻟﺘﺎﺭﯾﺦ ﺍﻟﮑﺒﯿﺮ : ۶ )
১। হযরত মুগীরা বিন শু’বা (রাঃ) বর্ণনা
করেন যে, নবী আলাইহিস সালাম স্বীয়
নামাযের শেষে দু’আ করতেন।
-{ইমাম বুখারী (রহ) তারীখে কাবীরঃ
৬/৮০}
||
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺭﺽ ﮐﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ
ﺍﻧﺼﺮﻑ
ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼۃ ﯾﻘﻮﻝ : ﺍﻟﻠﮩﻢ ﺍﺟﻌﻞ ﺧﯿﺮ ﻋﻤﺮﻱ ﺃﺧﺮﮦ
ﻭﺧﯿﺮ
ﻋﻤﻠﻲ ﺧﺎﺗﻤﮧ، ﻭﺧﯿﺮ ﺃﯾﺎﻣﻲ ﯾﻮﻡ ﺃﻟﻘﺎﮎ۰
( ﺭﻭﺍﮦ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ ﺍﻷﻭﺳﻂ : ۱ / ۱۸۷ ﺍﻟﺤﺪﯾﺚ ۹۴۱۱ )
২। হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম যখন নামায থেকে
ফারেগ হতেন তখন এ দু’আ করতেন। হে
আল্লাহ ! আমার জীবনের মধ্যে
সবচেয়ে সুন্দর কর শেষ জীবনকে এবং
আমার আমলের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম কর
শেষ আমলকে এবং আমার দিন সমূহের
মধ্যে সবচেয়ে মনোরম কর তোমার
সাথে সাক্ষাতের দিনকে।
-{তাবারানী আউসাতঃ ১০/১৮৭ হাঃ
৯৪১১}
||
ﺑﮩﻦ ﺩﺑﺮ ﮐﻞ ﺻﻼۃ۰
( ﺭﻭﺍﮦ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀﻱ : ۱۵۱ ﺍﻟﺤﺪﯾﺚ ۵۴۶۵ )
৩। হযরত আবু বকর (রাঃ) বর্ণনা করেন
যে,
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক নামাযের পর এ
দু’আ করতেন, “হে আল্লাহ ! আমি
তোমার
নিকট কুফর, অভাব অনটন এবং দোযখের
আযাব থেকে মুক্তি চাই।”
-{নাসাঈ শরীফ: ১/১৫১ হাঃ ৫৪৬৫}
||
ﻋﻦ ﺯﯾﺪ ﺑﻦ ﺃﺭﻗﻢ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﮧ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ
ﻭﺳﻠﻢ
ﯾﺪﻋﻮ ﻓﻲ ﺩﺑﺮ ﮐﻞ ﺻﻼۃ ﺍﻟﻠﮩﻢ ﺑﻨﺎ ﻭﺭﺏ ﮐﻞ ﺷﻲﺀ۰
( ﺭﻭﺍﮦ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ : ۱ / ۲۱۱ ﺍﻟﺤﺪﯾﺚ ۱۵۰۸ )
৪। হযরত যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ)
বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে প্রত্যেক নামাযের পর
এ দু’আ করতে শুনতাম, হে আল্লাহ !
যিনি
আমাদের প্রতিপালক এবং প্রত্যেক
জিনিসের প্রতিপালক।
-{আবু দাউদ: ১/২১১ হাঃ ১৫০৮}
||
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﯾﺤﻲ ﺍﻷﺳﻠﻤﻲ ﻗﺎﻝ : ﺭﺃﯾﺖ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﮧ
ﺑﻦ
ﺍﻟﺰﺑﯿﺮ ﻭﺭﺃﻱ ﺭﺟﻼ ﺭﺍﻓﻌﺎ ﯾﺪﯾﮧ ﯾﺪﻋﻮ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﯾﻔﺮﻍ ﻣﻦ
ﺻﻼﺗﮩﻔﻠﻤﺎ ﻓﺮﻍ ﻣﻨﮧ۰ ﻗﺎﻝ ﻟﮧ ﺇﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﮧ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ
ﻋﻠﯿﮧ
ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻢ ﯾﮑﻦ ﯾﺮﻓﻊ ﯾﺪﯾﮧ ﺣﺘﯽ ﯾﻔﺮﻍ ﻣﻦ ﺻﻼﺗﮧ
৫। হযরত মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া
(রহঃ)
বলেন, ‘আমি আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর
(রাঃ) কে দেখেছি যে, তিনি এক
ব্যক্তিকে সালাম ফিরানোর পূর্বে
হাত তুলে মুনাজাত করতে দেখে তার
নামায শেষ হওয়ার পর তাকে ডেকে
বললেন, ‘রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেবল নামায
শেষ করার পরই হস্তদ্বয় উত্তোলন করে
মুনাজাত করতেন; আগে নয়।’
-{ই’লাউস সুনান, ৩/১৬১}
||
ﻋﻦ ﺍﻟﺴﺎﺋﺐ ﺑﻦ ﯾﺰﯾﺪ ﻋﻦ ﺃﺑﯿﮧ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﮧ
ﻭﺳﻠﻢ
ﮐﺎﻥ ﺇﺩﺍ ﺩﻋﺎ ﻓﺮﻓﻊ ﯾﺪﯾﮧ ﻣﺴﺢ ﻭﺟﮩﮧ ﺑﯿﺪﯾﮧ۰
( ﺭﻭﺍﮦ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ : ۱ / ۲۰۹ ﺍﻟﺤﺪﯾﺚ ۱۴۹۲ )
৬। হযরত সায়িব বিন য়াযীদ (রাঃ)
স্বীয়
পিতা থেকে বর্ণনা করেন নবী কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যখন দু’আ করতেন তখন উভয় হাত উঠাতেন
এবং দু’আ শেষে হস্তদ্বয়কে চেহারায়
মুছতেন।
-{আবু দাউদ শরীফ ১/২০৯ হাঃ ১৪৯২}
||
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﯽ ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺃﻧﮧ ﻗﺎﻝ : ﺩﻋﺎ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﯽ
ﺍﻟﻠﮧ
ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﺛﻢ ﺭﻓﻊ ﯾﺪﯾﮧ ﻭﺭﺃﯾﺖ ﺑﯿﺎﺽ ﺇﺑﻄﯿﮧ۰
( ﺭﻭﺍﮦ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ : ۲ /۹۳۸ ﺍﻟﺤﺪﯾﺚ )
৭। হযরত আবু মূসা আশআরী (রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম দু’আর জন্য উভয় হাত
উত্তোলন করেন। যদ্দরুন আমি তাঁর
বগলের
সাদা অংশ দেখতে পাই।
-{বুখারী শরীফ ২/৯৩৮ হাঃ ৬৩৪১}
||
ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﮐﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﮧ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﮧ
ﻭﺳﻠﻢ
ﺇﺫﺍ ﺭﻓﻊ ﯾﺪﯾﮧ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻟﻢ ﯾﺤﻄﮩﻤﺎ ﺣﺘﯽ ﯾﻤﺴﺢ
ﺑﮩﻤﺎ
ﻭﺟﮩﮧ۰
( ﺭﻭﺍﮦ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ : ۲ / ۱۷۶ ﺍﻟﺤﺪﯾﺚ ۶۳۴۱ )
৮। হযরত উমর ফারুক (রাঃ) বর্ণনা করেন
যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’আর জন্য যখন
হাত তুলতেন তখন চেহারায় মুছার পূর্বে
হাত নামাতেন না।
-{বুখারী শরীফ ২/১৭৬ হাঃ ৬৩৪১}
এ সকল হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল যে,
নবী কারীম সল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক
নামাযের পর মুনাজাত করতেন, চাই
ফরজ
হোক বা নফল এবং মুনাজাত করার সময়
দু’আর আদব হিসাবে উভয় হাত তুলতেন
এবং শেষে উভয় হাত চেহারার মধ্যে
মুছতেন। আর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এরূপ আমল
করতেন তাহলে সাহাবাগণও (রাঃ) এ
আমল করতেন। কারণ, নবী কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর আমল ও নির্দেশ-এর পরে সাহাবাগণ
তার বিরুদ্ধাচারণ করতে পারেন না!!! ★★

0 মন্তব্যসমূহ