Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাহাবী ও হাদিস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কথা

----: হাদিস শাস্ত্রের কতিপয় পরিভাষা :----

সাহাবী:-- ( ﺻﺤﺎﺑﻰ)
যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছেন বা
তাঁকে দেখেছেন ও তাঁর একটি হাদীস বর্ণনা
করেছেন, অথবা জীবনে একবার তাঁকে
দেখেছেন এবং ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ
করেছেন তাঁকে এর সাহাবী বলে।

তাবিঈ:--- ( ﺗﺎﺑﻌﻰ )
যিনি রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
কোন সাহাবীর নিকট হাদীস শিক্ষা করেছেন
অথবা তাঁকে দেখেছেন এবং মুসলমান হিসাবে
মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁকে তাবিঈ বলে।

মুহাদ্দিস :-- ( ﻣﺤﺪﺙ )
যে ব্যক্তি হাদীস চর্চা করেন এবং বহু সংখ্যক
হাদীসের সনদ ও মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান
রাখেন তাঁকে মুহাদ্দিস বলে।

শায়খ:---- ( ﺷﻴﻴﺦ )
হাদীসের শিক্ষাদাতা রাবীকে শায়খ বলে।

শায়খায়ন:-- ( ﺷﻴﺨﻴﻦ)
সাহাবীগণের মধ্যে আবু বকর ও উমর (রা.)-কে
একত্রে শায়খায়ন বলা হয়। কিন্তু হাদীসশাস্ত্রে
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম (রহ.)-কে এবং ফিক্হ-এর
পরিভাষায় ইমাম আবু হানীফা (রহ.) ও আবু ইউসুফ
(রহ.)-কে একত্রে শায়খায়ন বলা হয়।

হাফিয :-- ( ﺣﺎﻓﻆ )
যিনি সনদ ও মতনের বৃত্তান্ত সহ এক লক্ষ হাদীস
আয়ত্ব করেছেন তাঁকে হাফিয বলা হয়।

হুজ্জাত:--- ( ﺣﺠﺔ )
অনুরূপভাবে যিনি তিন লক্ষ হাদীস আয়ত্ব
করেছেন তাঁকে হুজ্জাত বলা হয়।

হাকিম:- ( ﺣﺎﻛﻢ )
যিনি সব হাদীস আয়ত্ব করেছেন তাঁকে হাকিম বলা
হয়।

রিজাল:-- ( ﺭﺟﺎﻝ )
হাদীসের রাবী সমষ্টিকে রিজাল বলে। যে
শাস্ত্রে রাবীগণের জীবনী বর্ণনা করা
হয়েছে তাঁকে আসমাউর-রিজাল ( ﺍﺳﻤﺎﺀ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ) বলা
হয়।

রিওয়ায়ত:-- ( ﺭﻭﺍﻳﺔ)
হাদীস বর্ণনা করাকে রিওয়ায়ত বলে। কখনও
কখনও মূল হাদীসকেও রিওয়ায়ত বলা হয়। যেমন,
এই কথার সমর্থনে একটি রিওয়ায়ত (হাদীস) আছে।

সনদ:-- ( ﺳﻨﺪ)
হাদীসের মূল কথাটুকু যে সূত্র পরম্পরায় গ্রন্থ
সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে সনদ বলা
হয়। এতে হাদীস বর্ণনাকারীদের নাম একের
পর এক সজ্জিত থাকে।

মতন:-- ( ﻣﺘﻦ )
হাদীসের মূল কথা ও তার শব্দ সমষ্টিকে মতন
বলে।

মরফূ’:-- ( ﻣﺮﻓﻮﻉ )
যে হাদীসৈর সনদ (বর্ণনা পরম্পরা) রাসূলুাল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যš— পৌঁছেছে,
তাকে মরফূ’ হাদীস বলে।

মাওকুফ:-- ( ﻣﻮﻗﻮﻑ )
যে হাদীসের বর্ণনা-সূত্র ঊর্ধ্ব দিকে সাহাবী
পর্যন্ত পৌঁছেছে, অর্থাৎ যে সনদ-সূত্রে
কোন সাহাবীর কথা বা কাজ বা অনুমোদন বর্ণিত
হয়েছে তাকে মাওকূফ হাদীস বলে। এর অপর
নাম আসার ( ﺍﺛﺎﺭ ) ।

মাকতু:-- ( ﻣﻘﻄﻮﻉ )
যে হাদীসের সনদ কোন তাবিঈ পর্যন্ত
পৌঁছেছে, তাকে মাকতু’ হাদীস বলা হয়।

মুত্তাফাকুন আলাইহি:- ( ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ )
যে হাদীসের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে ইমাম বুখারী ও
ইমাম মুসলিম উভয়ই একমত এবং তারা উক্ত হাদীস
লিপিবদ্ধ করেছেন তাই মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদীস।

সাহীহ:--- ( ﺻﺤﻴﺢ)
যে মুত্তাসিল হাদীসের সনদে উলেখিত
প্রত্যেক রাবীই পূর্ণ আদালত ও যাবতা-গুণসম্পন্ন
এবং হাদীসটি যাবতীয় দোষত্র“টি মুক্ত তাকে
সাহীহ হাদীস বলে।

হাসান:--- ( ﺣﺴﻦ)
যে হাদীর্সে কোন রাবীর যারতগুণে
পরিপূর্ণতার অভাব রয়েছে তাকে হাসান হাদীস বলা
হয়। ফিকহবিদগণ সাধারণত সাহীহ ও হাসান
হাদীসের ভিত্তিতে শরী‘আতের বিধান নির্ধারণ
করেন।

যঈফ:--- ( ﺿﻌﻴﻒ )
যে হাদীসের রাবী কোন হাসান হাদীসের
রাবীর গুণসম্পন্ন নন তাকে যঈফ হাদীস বলে।
রাবীর দুর্বলতার কারণেই হাদীসকে দুর্বল বলা
হয়, অন্যথায় রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর কোন কথাই যঈফ নয়।
যঈফ অর্থ দূর্বল কিন্তু একে জাল বলে আখ্যায়িত
করা অনূচীত।

মাওযূ :--- ( ﻣﻮﺿﻮﻉ )
যে হাদীসের রাবী জীবনে কখনও
ইচ্ছাকৃতভাবে রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
-এর নামে মিথ্যা কথা রটনা করেছে বলে প্রমাণিত
হয়েছে, তার বর্ণিত হাদীসকে মাওযূ’ হাদীস
বলে। এরূপ ব্যক্তির বর্ণিত হাদীস গ্রহণযোগ্য
নয়।
          সমস্যা হলে প্রশ্ন করুন

লিখেছেন  সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম হুসাইনী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ